বিভ্রান্তির মূলে বিজ্ঞপ্তি। সেই বিভ্রান্তি কাটানোর জন্য ফের একটি বিজ্ঞপ্তি।
বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিএড পড়া নিয়ে বিভ্রান্তি কাটানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। তাতে বলা হয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষিকারা গত বছর যে-পদ্ধতিতে বিএড পাঠ্যক্রমে ভর্তি হয়েছেন, এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। অর্থাৎ কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথা মেনে ভর্তি হয়ে নিয়মিত ক্লাস করেই বিএড ডিগ্রি নিতে পারবেন।
সম্প্রতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো উচ্চশিক্ষা দফতরের একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিএড পড়া নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। দূরশিক্ষার মাধ্যমে কর্মরত শিক্ষকদের বিএড পড়ার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছিল সেই চিঠিতে। কিন্তু বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই দূরশিক্ষায় বিএড পড়ার ব্যবস্থা নেই। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা বুঝতে না-পেরে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিএড পাঠ্যক্রমে ভর্তি নেওয়াই বন্ধ করে দেয় কোনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয়।
দূরশিক্ষায় প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার। একই ভাবে ওই পদ্ধতিতে বিএড পড়ানোর ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেই প্রস্তাব দিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন স্কুলশিক্ষা সচিব বিক্রম সেন। বিক্রমবাবুর সেই চিঠির ভিত্তিতেই দূরশিক্ষার মাধ্যমে বিএড পড়ার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দফতর।
কিন্তু এতে বিএড পঠনপাঠনে সুরাহা তো দূরের কথা, কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কী ভাবে বিএড পড়তে পারবেন, তা নিয়েই বিভ্রান্তি দেখা দেয়। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায় যে, গত ২০ জুন স্কুলশিক্ষা সচিব ফের একটি চিঠি লেখেন উচ্চশিক্ষা দফতরের সচিবকে। সেই চিঠিতে তিনি আবেদন জানান, বিকল্প পদ্ধতিতে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা না-হওয়া পর্যন্ত কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে বর্তমান পদ্ধতিতেই বিএড পড়তে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হোক। বৃহস্পতিবার উচ্চশিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, “এ দিনই একটি চিঠি লিখে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বর্তমান পদ্ধতিতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস করেই কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিএড পড়তে পারবেন। দূরশিক্ষায় বিএড পড়ার বন্দোবস্ত না-হওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থাই চলবে।”
Source: http://www.anandabazar.com/29raj3.html